রাসূল সাঃ - কে স্বপ্নে দেখার পরিক্ষিত আমল

রাসুল সাঃ বলেছেন যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখবে নিশ্চয়ই তার জন্য দোযখের আগুন হারাম হয়ে যাবে।

অন্য এক হাদিসে রাসুল সাঃ বলেন, যে মুসলমান রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বপ্নে দেখল সে প্রকৃতপক্ষে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ই দেখলো কেননা শয়তান তার আকৃতি ধারণ করতে পারে না।

যে ব্যক্তি হালাল উপায়ে অর্থ উপার্জন করে এবং ইসলামের অন্য যাবতীয় সাধ্য অনুযায়ী আমল করে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দুরুদ পরে সে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বপ্নে অবশ্যই দেখতে পাবে ।

নিম্নলিখিত আমল গুলো করে বুযুর্গানে দ্বীন রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জিয়ারত লাভ করেছেন।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত হতে আরম্ভ করে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পর্যন্ত তিন রাত এই আমল করতে হয় । প্রথম তিন রাতে সাক্ষাৎ না পেলে পরবর্তী সপ্তাহে আবার ওই তিন রাতে আমল করবে, দ্বিতীয় সপ্তাহেও জিয়ারত লাভ না হলে অনুরূপভাবে পরবর্তী সপ্তাহে আমল করবে এর মধ্যে আল্লাহর রহমতে দিদার লাভ হবে ইনশাআল্লাহ।

মঙ্গল বুধ ও বৃহস্পতি তিন দিন রোজা রাখতে হবে, ধূমপান করবে না, শরীর, জামাকাপড়, বিছানা-পত্র, পাক পবিত্র হতে হবে। প্রতি রাতে সুগন্ধি ব্যবহার করবে।

এশার নামাজের পর বিতর না পড়ে শয়ন করে, বিছানার উপরে জায়নামাজ বিছিয়ে দুই দুই রাকাত করে চার রাকাত নফল নামাজ পড়ে, এক হাজার বার দরুদ শরীফ পাঠ করবেন, অতঃপর বিতরের নামাজ পড়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাৎ লাভের নিয়তে উত্তর দিকে মাথা দিয়ে ডান কাতে শুবে, ঘুম না আসা পর্যন্ত দুরুদ শরীফ পাঠ করতে থাকবে। আমল আরম্ভ করে ঘুমানো পর্যন্ত কারো সাথে কথা বলবে না।

এছাড়াও বহু আমল আছে যাতে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জিয়ারত লাভ করা যায় ।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বপ্নে জিয়ারতের আমল

নবী করীম সাঃ এর সাথে স্বপ্নে যিয়ারত করতে চাইলে শুক্রবার রাতে এশার নামাজের পরে পাক পবিত্র অবস্থায় এক মনে সূরা কাওসার এক হাজার বার পাঠ করেন নিদ্রা যাবে। ইনশা আল্লাহ জিয়ারাত নসীব হবে।

রাসূল (সঃ) কে স্বপ্নে যিয়ারতের দ্বিতীয় আমল

নিম্নলিখিত যে কোন দরূদ শরীফ প্রথম জুমার রাত্রে সত্তর বার, দ্বিতীয় জুমার রাত্রে একশত বার, তৃতীয় জুমার রাত্রে সাত শত বার পাক পবিত্রতার সাথে পাঠ করে পাক বিছানায় শয়ন করবে। ইনশাআল্লাহ নসীব ভাল হলে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে জিয়ারত লাভ হবে।

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ كَمَا أَمَرْتَنَا أَنْ تُصَلَّى عَلَيْهِ .

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আ'লা আলি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন কামা আমারতানা আন্ নুসাল্লি আলাইহি।

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ كَمَا هُوَ اهله .

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ'লা আলি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন কামা হুয়া আহ্লুহু।

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ كَمَا تُحِبُّ وَ تَرْضَاهُ لَهُ .

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ'লা আলি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন কামা তুহিব্বু ওয়া তারদাহু লাহু।

রাসূল (সঃ) কে স্বপ্নে যিয়ারতের তৃতীয় আমল

মাগরিব নামাযের পর ইশার নামায পর্যন্ত দুই রাকাআত করে নফল নামায পড়তে থাকবে, প্রত্যেক রাকাআতে সূরা ফাতিহার পর তিন বার সূরা ইখলাস পড়বে এবং ইশার নামাযের পর পুনরায় দু রাকাআত নফল নামায পড়বে। সালাম ফিরানোর পর সাত বার কালিমা তামজীদ পড়ে উভয় হাত উঠিয়ে এ দোয়া পড়বে।

يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ يَا ذَا الْحَلَالِ وَالْإِكْرَامِ ، يَا أَرْحَمَ الرَّحِمِينَ يَا رحمن الدنيا وَالْآخِرَةِ وَرَحِيمُهُمَا ، يَا إِلَهَ الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ رحمن - يَارَبِّ يَارَبِّ بَارَبِّ يَا اللَّهُ يَا اللَّهُ .

অতঃপর পাক বিছানায় ডানকাতে কিবলামুখী হয়ে শুয়ে দরূদ শরীফ পড়তে পড়তে নিদ্রা যাবে, আল্লাহর ফজলে স্বপ্নে নবীজীর দীদার লাভ হবে। এরূপ আমল সাত দিন করবে।

রাসূল (সঃ) কে স্বপ্নে যিয়ারতের চতুর্থ আমল

রবিউল আউয়াল চাঁদের ১লা তারিখে সন্ধ্যার পর দুই রাকাআত নফল নামায এ নিয়মে পড়বে, আলহামদুর পর সূরা ইখলাস তিন বার করে পড়বে। তারপর এক হাজার বার দরূদ শরীফ পড়বে। ইন্‌শাআল্লাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জিয়ারত লাভ হবে।

স্বপ্নের রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জিয়ারত লাভের আরও বিভিন্ন রকম আমল সম্পর্কে জানতেন নিচের লিংকে ক্লিক করুন। এখানে ক্লিক করুন