তাবিজ লেখার কতিপয় নিয়মাবলী

তাবিজ লেখার কতিপয় নিয়মাবলী।

সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সকল রোগ ও তার পক্ষ থেকে নেয়ামত স্বরূপ এবং তার শেফা দানকারী ও তিনি। একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ছাড়া রোগের মুক্তিদাতা কেউ নেই তাই সর্বপ্রথম মহান স্রষ্টা রাব্বুল আলামীনের কাছে রোগের শেফা চাইতে হবে তাবিজ লেখা অথবা কোন আমল করার বিশেষ কিছু নিয়ম ও আদব রয়েছে আমরা আজকে সেই বিষয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।

তাবিজ লেখার পূর্বে 

তাবিজ লেখার পূর্বে অবশ্যই অজু করবেন, গোসল করলে আরো ভালো হয় তারপর শরীরের সুগন্ধি ব্যবহার করবে এবং কিছুটা সুগন্ধি নিজের নিকট রাখবে । তাবিজ লেখার সময় কারো সাথে কথা বলবে না এবং কোন নাপাক মহিলাকে কাছে আসতে দিবে না। তাবিজের উপর অবশ্যই আরবিতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লিখবে। যদি পুরোটা লেখা সম্ভব না হয় কমপক্ষে ৭-৮-৬ লিখবে। 

বশীকরণে তাবিজ লেখার সময় মুখে মিষ্টি কিছু রেখে দিবে, কোন প্রকার হারাম কাজের জন্য কখনো তাবিজ লিখবে না তা লিখা অত্যন্ত পাপ এবং তার শাস্তি খুব ভয়াবহ। ভালবাসার তাবিজ লেখার সময় ভালোবাসার পাত্র বা পাত্রির দিক হয় বসবে এবং মনে করবে সে ব্যক্তি যেন আপনার সম্মুখে দণ্ডায়মান আছেন।

শত্রুতা সাধনের জন্য কোন তাবিজ লিখলে মুখে তিক্ত কোন বস্তু রাখবে। শত্রুর মুখ বন্ধ করার জন্য তাবিজ লিখলে দাঁতে কিছু মোম চেপে ধরে লিখবে এবং মাসের শেষ দিকে লিখবে। খারাপ স্বপ্ন বা অস্ত্র বন্ধ করার জন্য লিখলে কালো কালি দ্বারা লিখবে।

কোন কোন বুযুর্গানে দিন বলেন যে ব্যক্তির জন্য তাবিজ লিখবে সে ব্যক্তির গায়ের বর্ণের প্রতি খেয়াল রাখবে, গায়ের রং লাল হলে লাল রং, হলুদ হলে জাফরান দ্বারা, সাদা হলে কাফুর অথবা চুন দ্বারা এবং কালো রং হলে কালো কালি দ্বারা তাবিজ লিখবে। 

তাবিজ যদি মাদুলি বা অন্য কোন কিছুর মধ্যে ভরা থাকে তবে সাথে নিয়ে পায়খানা প্রস্রাব করা দোশনীয় নয়, তবে খুলে রেখে যাওয়াই ভালো। এতে প্রমাণিত হয় যে রোপ্য বা তামার পাত্রে খোদাই করা তাবিজ যদি কাপড় বা অন্য কোন কিছুতে ঢাকা থাকে তবে তা দোশনীয় নয় । কিন্তু খোলা অবস্থায় পায়খানা প্রসাবের যায়গায় গেলে পাপ হবে।

তাবিজ লেখার সময় নিচের বিষয়গুলো ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে 

• প্রথমে অজু গোসল করে পাক পবিত্র হবে 
• পাক সাপ কাপড় পরিধান করবে 
• পাক জায়গায় বসবে 
• তাবিজ লেখার সময় কারো সাথে কথাবার্তা বলবে না 
• তাবিজ লেখার সময় যেন গায়রে মাহরাম মহিলার ছায়া লেখকের উপর না পরে 
• প্রণয় ও বশীকরণ বিষয়ক তাবিজগুলো মাসের প্রথম ভাগে লিখবে

যে তাবিজ বা আমলে আল্লাহর নাম নাই একটা লেখা বা পড়া জায়েজ নেই।

 যাদুটোনা শিক্ষা করা হারাম এটি ঈমান নষ্ট করে দেয়। আল্লাহ পাক এগুলো থেকে মুসলমানদেরকে রক্ষা করুন ।